হাতির আতঙ্কে ছাত্র সংখ‍্যা কমছে বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বিদ‍্যালয়ে

14th January 2020 বাঁকুড়া
হাতির আতঙ্কে ছাত্র সংখ‍্যা কমছে বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বিদ‍্যালয়ে


দেবব্রত মন্ডল  :  কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়ার বাসুদেবপুর জঙ্গলে হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছছ । ব‍্যাঘাত ঘটছে পড়াশোনা এলাকায় থাকা স্কুলে ।  বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বাসুদেবপুর জঙ্গল এলাকায় মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেকগুলি গ্রাম । এইসব গ্রামগুলিকে নিয়ে রয়েছে একটি তপশিলি জুনিয়র হাইস্কুল । নাম পানশিউলি তপশিলী জুুুনিয়র বিদ্যালয় । স্কুলের আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রাইমারি শেষ করে পড়তে আসে প্রায় ৭৪ জন ছেলে-মেয়ে ।  ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত স্কুল ।  হাতির আতঙ্কে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৪ জন ।  সে কথা স্বীকার করলেন স্কুলের হেডমাস্টার স্বয়ং । তার বক্তব্য এই এলাকায় প্রায়ই হাতির তান্ডব থাকে ।  বারবার বনদপ্তর কে জানিয়েও কোন ফল হয়নি ।   স্কুল যাতায়াতের জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেখানে কিন্তু কোনোভাবেই সাহায্য করে না বনদপ্তর। সেই কারণে হয়তো এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা কমছে  হাতির আতঙ্কে ।  অন্যদিকে যেসব এলাকাবাসী রয়েছে তাদের বক্তব্য বাসুদেবপুর থেকে পানশিউলি আসার জন্য যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তা একবারে ফাঁকা এবং তার পাশে হাফ কিলো মিটারের ভেতরে যে জঙ্গল রয়েছে সেখানে ৩০ টি হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ।  যে কোন সময়  কিন্তু বিপদ হতে পারে । সেই কারণে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা এই সময়ে দূর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । বনদপ্তর এর কোন পাহারাও ও নেই এই রাস্তার উপরে । অন্যদিকে ফরেস্ট আধিকারিকদের বক্তব্য আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি । জানানো হলে নিশ্চয়ই আমরা এর বিষয়  ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতাম এবং তাদের বক্তব্য অনুযায়ী সবসময়  পাহারা দেয়ার জন্য  কর্মীর সংখ্যাও নিতান্তই কম । 

       





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।